সেই সাকার মাছ হলো নিষিদ্ধ
দেশে ছড়িয়ে পড়া ক্ষতিকর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাছটি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মৎস্য চাষ) মো. খালেদ কনক প্রথম আলোকে বলেন, সাকার দেশীয় প্রজাতির মাছের ডিম ও রেণু খেয়ে মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ মাছ যেকোনো পরিবেশে বাঁচতে পারে এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধির কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের সঙ্গে খাদ্য ও বাসস্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। মাছটি খাওয়া যায় না। সর্বোপরি সাকার মাছ জলজ জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে।
৮ সেপ্টেম্বর ‘ছড়িয়ে পড়া সাকার মাছ এখন বড় দুশ্চিন্তার কারণ’ শিরোনামে প্রথম আলোর অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় এখন চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। মানুষ এখন আর মাছটি আমদানি, অ্যাকুয়ারিয়ামে পালন বা বিক্রি কিংবা প্রজনন—কিছুই করতে পারবেন না। এ আইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন খালেদ কনক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কেউ সাকার মাছ আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও মালিক হতে পারবেন না। তাতে এ–ও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে, তা লিখিতভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে অনধিক দুই মাসের মধ্যে প্রদান করা যাবে। এর মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ না পাওয়া গেলে, তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
নিয়ন্ত্রিত হবে যেভাবে
মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Hypostomus plecostomus। এটি প্লেকো নামেও পরিচিত। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, সাকার মাছ অবৈধভাবে দেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অ্যাকুয়ারিয়াম ব্যবসায়ীরা দেশে মাছটি এনেছেন। এ মাছ ময়লা খেয়ে অ্যাকুয়ারিয়াম পরিষ্কার রাখে। সেখান থেকে এটি কোনোভাবে উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে।