কুষ্টিয়া দৌলতপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই ইটভাটা! ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।

শেয়ার করুন

মনা # কৃষি ও বনাঞ্চল অধ্যুষিত দৌলতপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ভাটায় ইট পোড়ানো চলছে। ইটভাটার ধোঁয়ায় গিলে খাচ্ছে বিদ্যালয়টিকে। এতে ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা লোকালয়ের পাশে ইট ভাটার ফলে শ্বাস কষ্ট,এলার্জি ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বিস্তারেরর সম্ভাবনা রয়েছে।এছাড়াও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও কৃষিজমির ওপর ইটের ভাটাটি। ভাটার আগুনে পুড়ছে উর্বর মাটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতপর উপজেলার হোগলবাড়ি ইউনিয়নে সাদিপুর মানিকদিয়া গ্রামে   প্রাথমিক বিদ্যালয় একেবারে সাথে  বি এন্ড বি ব্রিকসের ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের জন্য এটি মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।  বিদ্যালয় ঘেঁষা বশিরের বি এন্ড বি ইটভাটার কারনে  শিক্ষার্থীর ছাড়াও হাটবাজার, লোকালয়ের কয়েক হাজার বাসিন্দা ভাটার ধোঁয়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

বশিরের বি, এন্ড, বি ব্রিকস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১০০ মিটারের মধ্যে স্থাপন করে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিধিবিধানের কোনো বালাই নেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাহাড়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং লোকালয় থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। এছাড়াও কৃষিজমিতে ইটভাটা তৈরির আইনগত নিষেধ থাকলেও কৃষিজমি, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরর পাশের অপরিকল্পিতভাবে এই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া  জেলার সহকারী পরিচালক বলেন, বি এন্ড বি  ব্রিকসের পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। কেউ যদি পরিবেশ ছাড়পত্র না পেয়ে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রী  ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কিনে এই অসাধু ভাটা মালিক বশির জ্বালানী হিসেবে কাঠের ব্যবহার করছেন। কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী হিসেবে কাঠ বা কাঠের গুড়ি পোড়ানোর ফলে ভাটাগদ থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। 

বশিরের ইট ভাটায় হাজার হাজার মন গাছের খরি পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং ইটভাটার চুল্লি­গুলিতে ১২০ ফুট উচু স্থায়ী চিমনির পরিবর্তে  ভাটায় মাত্র ৫০ থেকে ৬০ ফুট উচু চিমনী ব্যবহার করে পোড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চলের সবুজ বৃক্ষ।

বশিরের বি এন্ড বি  ইটভাটাতে অবাঁধে কাঠ পোড়ানো হলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন  প্রতিদিন প্রকাশ্যেই শত শত ট্রাকভর্তি জ্বালানীকাঠ বশিরের বি এন্ড বি ইটভাটায় যাচ্ছে আর এই অবৈধ্য  নিষিদ্ধ ইটভাটাতে ফসলী জমি থেকে উর্বর মাটি কেটে সেইসব মাটি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট।

দৌলতপুরে বিভিন্ন ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযান চললেও বশিরের বি এন্ড বি ইট ভাটায় এর উল্টো চিত্র তার ভাটাতে কোন  অভিযান হয় না। ভাটা মালিক বশির  দম্ভোক্তি করে বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে  ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী হিসেবে কাঠ জ্বালায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *