কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি বিবাহিত, ক্যাম্পাস জুড়ে তোলপাড় !
ইবি প্রতিনিধি।। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বিবাহিত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহাম্মেদ জয়ও বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরীপন্থি এমন কাজ করায় ইবি ক্যাম্পাস জুড়ে এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাস ও তাদের এলাকার একাধীক সূত্র নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী (তার বান্ধবী) সেজুতি হোসেন সাথীর সাথে জোর করে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত বছর ইবিতে শিক্ষক বানানোর শর্তে দুই পরিবারের উপস্থিতে কুষ্টিয়া শহরে আরাফাতের এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় গোপনে আরাফাত সাথী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আরাফাতের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পশ্চিম আবদাল পুরে ও সেজুতি হোসেন সাথীর বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় দুই জনেই ইবি আইন বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী । আরাফাতের গ্রামের বাড়িতে সেজুতি হোসেন সাথীর নিয়োমিত যাওয়া—আশা আছে এবং দুজনকে বিভিন্ন সময় কুষ্টিয়া শহরের অনেক বাসা বাড়ি ও মেসে থেকে বের হতে দেখা গেছে। এনিয়ে এলাকায় অনেক সমালোচনা হয় যা এলাকার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে আরাফাতে বৌয়ের চাকরি হচ্ছে না এবং তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা রকম ঝামেলা চলছে সেজুতি হোসেন সাথীর সাথে। বিয়ের বিষয়ে সভাপতি আরাফাতের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব কথা মিথ্যা। সাথী নিয়োমিত বাসায় থাকে এবং দুজনকে কুষ্টিয়া শহরেও দেখা যায় আবার এলাকার সবাই বলে এটা আরাফাতের স্ত্রী এ বিষয়ে তিনি বলেন সাথী আমার ভালো বন্ধু। বাসায় যেতেই পারে, একথা বলে আরাফাত ফোন কেটে দেন। অপরদিকে ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহাম্মেদ জয়ও বিবাহিত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে সম্পাদক জয়ের সন্তানের ছবি ভাইরাল হলে ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় । ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের ২০১৪—১৫ সেশনের ছাত্রী বৈশাখী খাতুনের সাথে জয়ের বিয়ে হয় ঢাকার একটি কাজী অফিসে । বৈশাখীর বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কাঞ্চনপুরের জিলুর রহমানের মেয়ে। কিছু দিন আগে ক্যাম্পাস জুড়ে আলোচনা ছিল সম্পাদক জয় বাবা হতে চলেছেন। জয়ের একাধিক বন্ধু বলেন জয় ও বৈশাখী ঢাকায় বাসা ভাড়া করে এক সাথে অনেক দিন থেকেছে এবং জয় কমিটির পর থেকে ঝিনাইদহ তার নিকট আত্মীয়ের বাসাই বৌ নিয়ে নিয়োমিত থাকতো। ইবি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার আগেও বৈশাখীর সাথে ঢাকা ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন পার্কে দেখা যেত জয় বৈশাখী জুটিকে। এই বিষয়ে বৈশাখীর গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বৈশাখী খাতুন মা হতে চলেছেন কিন্তু বৈশাখীর স্বামী কে এ বিষয়ে কেউ কোন তথ্য দিতে পারেনি। তবে তার প্রতিবেশী জহির উদ্দিন বলেন জিলুর
(বৈশাখীর বাবা) মেয়ের বিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্ন এলাকাতে আছে বৈশাখীর পরিবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে জামাই বিদেশ থাকে আবার বলে জামাই ঢাকায় থাকে কখন কি বলে বোঝা বড় মুসকিল। তবে মেয়েটা বাহিরে আসেনা সুনলাম মা হবে। এ সব বিষয়ে নাসিম আহাম্মেদ জয়ের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই জয় বলে আমার এক ছোট ভাই আপনাকে ফোন দিবে আপনার বিষয়টি দেখবে। এ বলে ফোন কেটে দেয়। প্রতিবেদক আবারও ফোন করে জানতে যে সন্তানের ছবি ভাইরাল হয়েছে এটাকি আপনার সন্তান না ? তখন জয় বলে ভাই কারোর ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয় । আবারও বলে আমার ছোট ভাই আপনার সাথে কথা বলবে আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন এ কথা বলে ফোন কেটে দেন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিতরা ছাত্রলীগের কোন পদে আসতে পারবেনা বা পদে থাকার সময় কেউ বিবাহ করলে পদত্যাগ করতে হবে। এটি ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ এর ক উপ ধারায় বলা আছে।