গোরস্থানে আড়ং’র ব্যানার ঝুলানোয় কুষ্টিয়া শহরজুড়ে ব্যাপক তোলপাড়
কুষ্টিয়ায় আড়ং’র একটি শাখা উদ্ধোধন হওয়ার আগে প্রচার-প্রচারণার জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে, মোড়ে মোড়ে তাদের ব্যানার, ফেষ্টুন লাগিয়েছেন। এ সময়ে তারা একটি ব্যানার কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় পৌরগোরস্থানের দেয়ালেও লাগিয়ে দেয়। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠে। কেউ কেউ নানা মন্তব্য করে ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
জয় নেহাল নামে এক প্রবাসী তার ফেসবুক পেজে পোষ্ট দিয়ে বলেছেন, কুষ্টিয়া শহরজুড়ে এত জায়গা থাকা সত্তে¡ও গোরস্থানের দেয়ালে আড়ংয়ের বিজ্ঞাপন ব্যানার টানানোয় এটার বিপরীতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিছু প্রশ্নও উঠেছে, তাহলে কী তারা ভোক্তাদের ‘গলা কাটার’ জন্য এখানে ‘আগাম বার্তা’ দিয়ে রেখেছেন?। মীর আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আড়ং এ গেলেই পরে কবরে যেতে হবে আর সেটা বোঝাতেই কবরস্থানের সামনে এমন বিজ্ঞাপনী ব্যানার দেওয়া হয়েছে।’ কেউ কেউ বলেছেন, ‘কুষ্টিয়াতে আড়ং এর কুষ্টিয়া শাখা উদ্বোধন হলো। আমার বক্তব্য হলো, দোকান উদ্বোধন এর প্রচার প্রচারণা হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কবরস্থানের দেয়ালে কেনরে ভাই? আড়ং এর কুষ্টিয়া শাখায় কি মৃত ব্যক্তিদের জন্য চাটাই, বাঁশ বিক্রি করবে, ঠিক বুঝলাম না। ব্যানারটা লাগানোর জন্য আর জায়গা পাওয়া গেল না? মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় আর কবে হবে?। জাতির কাছে প্রশ্ন রাখলাম।’ এমন অনেক মন্তব্য কুষ্টিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চাউর হয়েছে। এ ব্যাপারে আড়ং কুষ্টিয়া শাখার দায়িত্বরতদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গোরস্থানের দেয়ালের সাথে আড়ং’র ব্যানারটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আর শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তাদের ব্যানার ফেষ্টুন, শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এলইডি স্থাপনের জন্য পৌরসভার নির্ধারিত ফি জমা দিয়েছে। তবে গোরাস্থানের দেয়ালের সাথে ব্যানার টাঙ্গানোটি ঠিক হয়নি বলে তিনি দাবী করেন। উল্লেখ্য, শনিবার কুষ্টিয়া শহরের সৃজন টাওয়ারে দেশের ২৭তম এই আউটলেট উদ্বোধন করা হয়।