কুষ্টিয়ার কৃষি বিপণন বাজার কর্মকর্তা সুজাত এর দূর্নীতি
দুই ডজন কলম আর দুই রিম এ- ফোর সাইজ এর কাগজের মুল্য দুই লক্ষ্য টাকা
কুষ্টিয়ার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকতা সুজাত হোসেন। দুই ডজন কলম আর দুই রিম এ- ফোর সাইজ এর কাগজ ক্রয় করে দুই লক্ষ্য টাকা ভাগ করে নিলেন সুজাত ও অফিস পিয়ন আমিরুল। সুজাত খান গত ২০২২-২৩ অথ্য বছরের জুন কোলোজিন মাসে সরকারী বরাধকৃত দুই লক্ষ্যটাকায় ক্রয় করলেন,দই ডজন কলম আর দুই রিম এ-ফোর সাইজের কাগজ।
সুজাত কুষ্টিয়া কৃষি অধিপ্তরে যোগদান কররেই তালিকা চেয়ে বসে পিয়ন আমিরুলের কাছে। বাংলাদেশ গেজেট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের ১০ কার্তিক, ১৪২৮ বঙগাব্দ/ ২৬ অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ এস,আর, ও নং- ৩৩০-আইন/ ২০২১। কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ সনের ৪৪ নং আইন এর ধারা ২৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার নিম্নরুপ বিধিমালা- অনুসারে ২ নং সংজ্ঞা (খ) আমদানিকারক উক্ত ক্রয়কৃত কৃষিপণ্য বা কৃষি উপকরণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিক্রয়ের জন্য আনয়ন করেন এইরুপ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে লাইন্সেন প্রদান করতে হবে। জানা যায় কুষ্টিয়ার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে যোগদান করেন। গত ২০২২-২৩ সালের অথ্য বছরের সরকারী বরাধকৃত ২ লক্ষ টাকার ২৪ টা কলম আর দুই রিম এ-ফোর সাইজের কাগজ কয় করে বাঁকি টাকা ভাগ করে নেন। আবার গত জুন থেকে নতুন অথ্য বছরের ভূয়া বিল ভাউচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাজার কর্মকতা সুজাত হোসেন খান।
৬ষ্ট গ্রেটের কর্মকতা,অফিসের দায়ীত্ব পালন করছে ১২ গ্রেট এর তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী হিসাবে দায়ীত্ব পালন করছে সুজাত হোসেন খান। কুষ্টিয়া জেলা কৃষি বিপণন কায্যলয় থেকে কৃষি পূন্য ও কৃষি উপকরণ, কৃষি প্রকৃয়া জাতকরন, গোদাম, হিমাগার ও রাসানিক ও জোব্য সাারের লাইন্সেস প্রদানে সরকারী নিয়োম-কানন না মেনে মোটা অংকের টাকা খেয়ে একই ব্যাক্তির নামে ৭/৮ টা করে লাইন্সেস করে দিয়েছে সুজাত খান। এমন তথ্য রয়েছে। হিমাগার, প্রকৃয়াজাতকরন প্রতিষ্ঠানের বড় গোওডানের কাছ থেকে নতুন লাইন্সেস নবায় করতে ১২ থেকে ১৫ শত টাকা নিয়ার কথা থাকলেও তিনি নিচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। ডাল ও খেজুরের গুর প্রস্তুতকারক এর একই প্রতিষ্টানের সোষ্টি বাবু,রাজকুমার, ও উজ্জাল ম্যানাজারের নামে সহ ৩ টা লাইন্সেস গত জুলাই মাসে কুমারখালির খোন্দকার ষ্টোর এর মালিক নাজমুলের কাছে ৩ হাজার টাকা দাবী করে না দিলে পরে ১৫০০ টাকায় লাইন্সেস করে দেন। খোকসা আম-বাড়ীয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক আল মার্চ গুর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে লাইন্সেস করে দিয়েছেন সুজাত। ইতিপুর্বে এক নেতার মিলে গিয়ে তাড়া খেয়েছেন,গত ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ডিসি অফিসে কৃষি বিপণন ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে সমন্নয় মিটিংয়ে কুষ্টিয়ার কৃষি বিপণন বাজার কর্মকতা সুজাত খান কে জিজ্ঞা করেন জেলা পরিষেদর সাবেক চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া চেম্ব অফ কর্মাচ এর সভাপতি হাজ্বি রবিউল ইসলাম আপনার নিজ হাতে তৈরি করা নোটিশ কারণে ও অকারণে দিয়ে ব্যাবসায়ীদের হয়রানী করেন কেনো-? এইপ্রশ্নের কোনো সৎউত্তর দিতে পারি নাই।
অফিস টাইম ঝাড়াই ব্যাবসায়ীদের কাছে গিয়ে তার নিজের হাতে তৈরি করা কালার লিফলেট দেখায়ে ভয়ভিতি দিয়ে টাকা আদায় করেন ঐ কর্মতা। নতুন লাইন্সেস দিতে সরকারী ফরম ব্যাবহার না করে নিজের হাতে তৈরি করা ফরম দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কৃষিপূণ্য ট্রেন্ডারের সময় কৃষি বিপণন অধিপ্তর কে বাজার দর তালিকা প্রেয়ন করতে হয় সহ সহ প্রতিষ্ঠানের নিকট। এদিকে এই অসাধু দূর্নীতি বাজ কর্মকতা সুজাত খান ঠিকাদারদের নাম ঠিকানা নিয়ে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে ২০/২৫ হাজার টাকা নিয়ে বাজার দর এর তালিকা গোপনে বিক্রয় করে বলে এমনও তথ্য রয়েছে।
শুধু তাই নয়, আরও জানা যায় যে, কুষ্টিয়া জেলার উল্লেখযোগ্য বেশ কয়একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে মাসুহারা খেয়ে আসচ্ছে সুজাত খান। সে যে এক জন অসাধু দূর্নীতি বাজ কর্মকতা তার প্রমান খুলনা বাগেরহাট জেলার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকতার দায়ীত্ব থাকা কালিন সুজাত খান একই কায়দায় ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে লক্ষ্যধিক টাকা আত্নসাথ করে। প্রমান গত ১৫ জুন ২০২৩ তারিখে তার বিভাগীয় উদ্ধতন কর্মকতা কুষ্টিয়া জেলা বাজার কর্মতা সুজাত খান কে চিঠি করে তার দূর্নীতির জবাব চাই। যার স্বারক নং ১২/০২/০০৪০/২০০/১৮/০১/২১/৮০০। এর জবাব না দিতে পারায় পর্বতিতে পূন্যরায় আবার গত ১৮ জুইলায় ২০২৩ তারিখে বিভাগীয় উদ্ধতন কর্মকতা চিঠি করেন, যার স্বারক নং ১২/০২/০০৪০/২০০/১৮/০১/২১/৯৪১। এই চিঠি পেয়ে তাড়া-হুড়া করে গত ১/৯/২০২৩ তারিখে দুপর বেলা অফিস ফাঁকি দিয়ে খুলনা বাগেরহাট যেয়ে মালা- মাল ক্রয় করে বুঝিয়ে দিতে। এতেও খ্যান্ত হয়নাই সুজাত খান। কুষ্টিয়া ৩/১ খোদাদাদ খান রোড বড় মসজিদ গলির তৃতীয় তলার কৃষি বিপণন অফিস টা কে দূর্নীতির আকড়াকাড়ী হিসাবে তৈরি করেছে সুজাত খান। গত ২৫/৭/২০২৩ আরও জানা যায় যে,কুষ্টিয়া ভেড়ামারা ১২ মাইল এলাকার চাঁদগ্রাম আল-বারাকা মসলামিলে যেয়ে প্রতিষ্টানের মালিক মোঃ ওয়াসিম কে হুমকি-ধামকি দিতে থাকলে,ওয়াসিম প্রতিকার চেয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করলে গত তারিখে ৩০/৮/২০২৩ ঘটনার জবাব চেয়ে সুজাত এর বিরোধে পত্র জারী কররেন কতৃপক্ষ্য। উপরুক্ত ঘটনা বলির সকল বিষয় জানতে চাইলে সুজাত খান বলেন কুষ্টিয়ায় যোগদান করে সরকারি বরাদ্ধ কৃত অর্থ পেয়েছি মাত্র ৬৪ হাজার টাকা। আমার বিরোধে যে সকল অভিযোগ আসচ্ছে তা সম্পূর্ণ্য মিথ্যা।