পুলিশের তাড়া খেয়ে ব্রীজ থেকে পড়ে চা বিক্রয়তার মৃত্যু,অবরুদ্ধ ৩ পুলিশকে উদ্ধার করলেন বিজিবি

শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় পুলিশের তাড়া খেয়ে
ব্রীজ থেকে পড়ে চা বিক্রেতা ও জাসদ নেতার ভাই রফিকুল ইসলাম দুদু (৪৫) এর মৃত্যু হয় গত শুক্রবার । এঘটনায় ৩ পুলিশকে বেধড়ক পিটিয়ে জাসদ অফিসে আটকিয়ে রেখে জাসদ নেতাকর্মীরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের একটি মোটরসাইকেল। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করার এক পর্যায়ে ৩ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, নিহতের নাম রফিকুল ইসলাম দুদু সে চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদ’র সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক’র ছোট ভাই আজিজ মন্ডলের পুত্র। চাঁদগ্রাম ৪ নং ব্রীজের সন্নিকটে একটি চা বিক্রয় করতো।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভেড়ামারা থানা পুলিশের এস আই সালাউদ্দীন সঙ্গীয় র্ফোস সহ অভিযান চালায়। মাদক ট্যাপেন্ডল সহ তাকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। এসময় পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ব্রীজ থেকে সে লাফ দেয় ওই মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশ সেখানে ধাওয়া করে তাকে আটক করে। এসময় ধস্তাধস্তার এক পর্য্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জাসদ নেতাকর্মীরা বলেন পুলিশের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে পুলিশ কে ধাওয়া দেয়। এবং ৩ পুলিশকে ধরে ফেলে বেধড়ক পিটায়। তাদের কে জাসদ অফিসে আটকিয়ে রাখা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি।
ভেড়ামারা থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রফিকুল ইসলাম দুদু একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটকের উদ্দ্যেশেই পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পালাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এবিষয়ে স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
৩ পুলিশ কে বেধড়ক মারপিট করে জাসদ অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভেড়ামারা থানার পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এবিষয়ে নিহতের পরিবারের অভিযোগ,পুলিশ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

কুষ্টিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আবদুল খালেক জানান, তিন পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন পুলিশ সেখানে গিয়েছিল সেটার তদন্ত চলছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে যদি পুলিশ দোষী হয় তাহলে তাদের কে আইনের আওতায় এনে সাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *