মোখা: ঝড়ে তুলনামূলক কম ক্ষতি
রোববার আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপেই বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। ১২ হাজারের মতো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হিসাব প্রশাসনের কাছ থেকে মিললেও কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বিশাল আকারের ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে উঠে আসার পর গতি-প্রকৃতি দেখে অনেকটা হাঁফ ছাড়ার সুর ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের কণ্ঠে।
তিনি দুপুরেই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা পাঁচ বছরে যত দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি, তার মধ্যে এবারের আয়োজন…ব্যবস্থাপনাটি ছিল সর্বোচ্চ সঠিক। এবার আমাদের ব্যবস্থাপনা খুবই সুন্দর হয়েছে। কোথাও কোনো লুপহোল ছিল না।”
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঝড়টির তুলনামূলক দুর্বল হয়ে পড়া এবং কেন্দ্র বাংলাদেশের উপর দিয়ে না যাওয়ার পাশাপাশি সাগরে ভাটার সময় আঘাত হানায় জলোচ্ছ্বাসও তেমন হয়নি।
তবে অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে মিয়ানারের রাখাইন প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া না গেলেও সেখানে অনেক হতাহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।