১৯১০ সালে স্থাপিতঃ ৩৯ শত জমির উপর কুষ্টিয়ার পাবলিক লাইব্রেরীর,নতুন দায়িত্ব পেলেন গাজী গোলাম মোস্তফা বাচ্চু
কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সদস্য সচিব এর দায়িত্ব পেলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, কুষ্টিয়া শহরের প্রসিদ্ধ শাহীন বেকারীর সাবেক স্বত্বাধিকারী গাজী গোলাম মোস্তফা বাচ্চু।
১শ ১৩ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান ৭৬ জন আজীবন সদস্য রয়েছে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর। গত ১৮ এপ্রিল লাইব্রেরীর বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় পুর্বের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ১১ সদস্যের একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে লাইব্রেরীর সদস্য গাজী গোলাম মোস্তফাকে লাইব্রেরীর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য গত কয়েক মাস পুর্বে দৈনিক কুষ্টিয়ার সম্পাদক ও প্রকাশক আমানুর আমান তৎকালীন এডহক কমিটির সিন্ধান্ত মোতাবেক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বিধি অনুযায়ী ওই কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু আদালতের একটি আদেশের প্রেক্ষিতে তা করা সম্ভব হয়নি। বিধি অনুযায়ী পুর্বের এডহক কমিটি ভেঙ্গে নতুন এডহক কমিটি গঠন করা হয়। নতুন সদস্য সচিব হিসেবে গাজী গোলাম মোস্তফা শহর সমাজ সেবা কমিটির সভাপতি, ইতিপুর্বে তিনি জেলা এফপিএবি, রেডক্রিসেন্ট, জেলা শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে সুনামের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে গাজী গোলাম মোস্তফা জানান, জেলা প্রশাসকসহ এ লাইব্রেরীর কার্যনির্বাহী সকল সদস্যগণ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার সাধ্য অনুযায়ী এ ক্লাবটিকে সাধারণ মানুষের ক্লাবে পরিণত করার চেষ্টা করবো। ইতিমধ্যে ক্লাবে রক্ষিত প্রায় ৬৮টি আলমিরাসহ সকল জিনিস পত্রের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রস্তুুত করেছি। বারান্দাসহ সব জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করেছি। মাঠটিকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান রয়েছে। তিনি জানান, আমার কোন কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। আমি চাই ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীটিকে শিশু, ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল বয়সী মানুষ এখানে নিয়মিত বই পড়তে আসেন। একটু বিনোদন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তিতে বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী ১৯৭২ সাল থেকে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এর পর লালিম হক,আমানুর আমান দায়িত্বপালন করেছেন। বর্তমানে ৭৬ জন আজীবন সদস্য রয়েছেন। ৩৯ শতক জমিটিতে স্থাপিত পাবলিক লাইব্রেরীটি এক সময়ে কুষ্টিয়ার মানুষের প্রাণকেন্দ্র ছিল। যত সভা-সমাবেশ, অনুষ্টান এখানেই হতো। কালের বির্বতনে এ প্রতিষ্ঠানটি তার জৌলুসতা হারিয়েছে। পুর্বের জৌলুসতা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সদস্য সচিব গাজী গোলাম মোস্তফা বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছেন। দ্বিতীয় তলার উপরে তাকাইলে ছাদের ভয়ংকর রূপ দেখা যায়।