পাকিস্তানের বিশ্বকাপে খেলা নির্ধারণ করবে তাদের সরকার

শেয়ার করুন

ভারতে গিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলবে কি না তা নির্ধারণ করবে দেশটির সরকার। বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান নাজম শেঠি।

এশিয়া কাপ খেলতে ‘হাইব্রিড মডেল’-এ রাজি হওয়ার জন্যে ভারতীয় বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তারা বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসবে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পিসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, তাদের ইচ্ছের উপর কিছুই নির্ভর করছে না। যদি পাকিস্তান সরকার অনাপত্তিপত্র দেয় তবেই তারা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারবে।

বিশ্বকাপের সূচি চূড়ান্ত করার আগে প্রতিটি দেশকেই খসড়া সূচি পাঠিয়েছে আইসিসি। এরপরই আইসিসিকে চিঠি লিখে নিজেদের অপারগতার কথা জানিয়েছে পাক বোর্ড। এ নিয়ে শুক্রবার পিসিবি চেয়ারম্যান নাজম শেঠি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা আইসিসিকে চিঠি লিখে জানিয়েছি, বিশ্বকাপের সূচির ব্যাপারে সম্মতি বা অসম্মতি দিতে পারব না। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। ভারত এ দেশে আসতে চাইলে যেমন ওদের দেশের সরকারের অনুমতি দরকার, তেমনই আমাদের সরকার ঠিক করবে ভারতে খেলতে যাব কি না।’

শেঠি আরও বলেন, ‘আহমেদাবাদে খেলতে রাজি কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই আমাদের নেই। সময় এলে এটা জানতে পারবেন যে আমরা যাচ্ছি কি না। এরপরে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় আমরা খেলব। বিশ্বকাপে আমাদের অংশগ্রহণ এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শর্তের উপর নির্ভর করছে।’

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৫ অক্টোবর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে আহমেদাবাদে। এছাড়াও বিশ্বকাপে ভারতের আরও পাঁচটি শহরে খেলবে পাকিস্তান। এরমধ্যে রয়েছে কলকাতাও। তবে পাকিস্তান এখনও সে বিষয়ে সম্মতি জানায়নি।

শুক্রবার ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আপ্লুত। পাকিস্তান বোর্ডের দেওয়া হাইব্রিড মডেল মেনে নিয়েছে এসিসি। পাকিস্তান বোর্ডই এশিয়া কাপের আয়োজক। পাকিস্তানে ম্যাচ হবে। বাকি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। নিরপেক্ষ দেশে খেলা হবে কারণ ভারতের পক্ষে পাকিস্তানে এসে খেলা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের মানুষ অধীর অপেক্ষায় ছিল ভারতকে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে দেখার জন্য; কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থাটা বুঝতে পারছি। পাকিস্তান বোর্ডের মতো তাদেরও দেশের সরকারের নিয়ম মেনে চলতে হয়।’

এখনও এশিয়া কাপের পুরো সূচি প্রকাশ হয়নি। দুই দেশের রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান বোর্ড একটি হাইব্রিড মডেলের কথা বলে। সেটাই মেনে নিয়েছে এসিসি। নাজম শেঠি বলেন, ‘হাইব্রিড মডেলই সেরা উপায় ছিল এশিয়া কাপ আয়োজন করার। সে কারণেই আমি এই মডেলের উপর এত জোর দিচ্ছিলাম। এর ফলে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হবে। এসিসি-র সবাই একসঙ্গে কাজ করবে। ভাল ক্রিকেট খেলা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *