বগুড়ায় নকল বিড়ি তৈরির কারখানায় র্যাবের অভিযান: জাল ব্যান্ডরোল জব্দ
বগুড়ার সোনাতোলা উপজেলার বালুয়াহাটাস্থ নকল আকিজ বিড়ি তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল আকিজ বিড়ি, জাল ব্যান্ডরোলসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন জব্দ করেছে র্যাব-১২ এবং বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এসব নকল বিড়ি তৈরির উপকরন জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই নকল বিড়ি তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, সরকারের মোট অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বগুড়ার সোনাতোলা উপজেলার বালুয়াহাটার একটি বাড়ির অভ্যন্ততে কারখানা বানিয়ে বিপুল পরিমান নকল আকিজ বিড়ি তৈরি হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিবার সন্ধ্যা ছয়টায় বগুড়া র্যাব-১২ এবং বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ উক্ত নকল আকিজ বিড়ি তৈরির করাখানায় অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্তরা কারখানায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে কারখানার ভিতরে তল্লাশি চালানো হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা অভিযানে তিন বস্তা তামাক, ১৫ বস্তা নকল বিড়ি, ৫ বস্তা জাল ব্যান্ডরোল ও বিড়ির লেভেল এবং বিপুল পরিমান বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন জব্দ করে র্যাব-১২ এবং বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। অভিযান শেষে ওই নকল বিড়ি তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর মুনির হোসাইন (এসপি) এবং বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার মালকিন নাসিরের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মীর মুনির হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি নকল বিড়ি কারখানায় বিপুল পরিমান জাল ব্যান্ডরোলসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন মজুদ রয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমান জাল ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরন জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার মালকিন নাসির জানান, জাল ব্যান্ডরোল ছাপিয়ে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।তিনি আরো জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।স্থানীয়রা জানান, বগুড়া ছাড়াও তারা দেশের বিভিন্ন বিড়ি ফ্যাক্টরিতে জাল ব্যান্ডরোল সরবরাহ করে এবং বিভিন্ন স্থানের নকল বিড়ি সরবরাহ করতো। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। নকলের বিরুদ্ধে র্যাব, পুলিশ এবং কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অভিযান ও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করছি।