কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ৩ আটক
আজ ৩১ অক্টোবর ২০২৩,।।
নাশকতার অভিযোগে কুষ্টিয়ার জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সহ-সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টুকেও আটক করা হয়।
আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটের দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে শহরের পশ্চিম মজমপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তবে তাকে কি কারণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সোহরাব উদ্দিনের বাড়ি ঘিরে ফেলে।
বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল আলিম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এসময় বাড়ি বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান। পরে বাড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা সোহরাব উদ্দিনকে সঙ্গে করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় নিয়ে যাওয়া হয়।
সোহরাব উদ্দিনের ছোট ভাই শিহাব উদ্দিন জানান, ডিবির লোকজন বড় ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এদিকে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমিকে ধরে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এসময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে ১৮ বোমা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ইটপাটকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন সদস্য শহরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথের কাছে জেলা বিএনপির শীর্ষ ৩ নেতাকে কী কারণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পরে জানানো হবে।