জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণপদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন আলী হোসেন ও হান্নান মন্ডল গংযেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা
আজ ২৩ নভেম্বর২০২৩,।।কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের চুয়াপাড়া মৌজাধীন পদ্মা নদী থেকে দিনরাত ধরে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে বালি খেকো আলী হোসেন ও হান্নান মন্ডল গং। আলী হোসেন পাবনা জেলার দৌগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। একাধিকজন জানান, পাবনা জেলার মানুষ হলেও অবৈধ ভাবে কুষ্টিয়া জেলার হরিপুর ইউনিয়নের আঙিনায় এসে নৌ পুলিশ ও ডিবি পুলিশের উপস্থিতিতে বালি উত্তোলন করছে এই আলী হোসেন ও হান্নান মন্ডল গং। হান্নান মন্ডল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর আগেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রশাসনের উপস্থিতিতেই অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলন করেছেন আলী হোসেন ও হান্নান মন্ডল গং। পদ্মা নদীর ভেতর ভিন্ন ভিন্ন স্থান হতে আলী হোসেন ও হান্নান মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে আসছে। স¤প্রতি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ মৌজাধীন পদ্মা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে সেখানে বালি উত্তোলন বন্ধ করে আবার হরিপুর মৌজায় এসে বালি উত্তোলন করছে। সেখান থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাগিয়ে নিচ্ছে এই আলী হোসেন গং। এসব অবৈধ টাকা দিয়ে আলী হোসেন একটি বিশাল বাহিনী গঠন করেছে। সূত্র জানায়, আলী হোসেনের নিয়ন্ত্রণে প্রায় অর্ধশত আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। বালি উত্তোলনের সময় সেখানে অস্ত্র নিয়ে তার বাহিনী মহড়া দিয়ে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পদ্মা নদীতে গোলাগুলির মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে বেশ কয়েকজন জানিয়েছে। যা নিয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মানুষজন চরম আতংকিত। সেখানে যেকোন সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।