কুষ্টিয়ার সদর সাব-রেজিস্ট্রারের সিসি ক্যামেরায় জাল-স্বাক্ষর ধরা পড়লেও এখনও অফিস করছে “মনিরুজ্জামান বাবু”
কুষ্টিয়ার সদর সাব-রেজিস্ট্রারের সহকারী মোঃ মনিরুজ্জামান বাবু নিজেই দলিল সাক্ষর করলেন। গত ১৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ বৃহঃ প্রতিবার। এক লেখক দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গেলে দলিলে কিছু অনটুটি থাকায় সাব-রেজিস্ট্রার দলিলটি রেজিষ্ট্রি না করে ফেরত দেয়। রেজিষ্ট্রার সাহেব অফিস থেকে চলে গেলে সাব-রেজিস্ট্রারের সহকারী মনিরুজ্জামান বাবু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলিলটি রেজিষ্ট্রার সম্পুন্য করে নিজেই জাল স্বাক্ষর করে। গত ১৮/৩/২০২৪ তারিখে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এসে দেখে তার ফেরত দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে তার স্বাক্ষর বাদেই। অফিস স্টাপদের জিজ্ঞাস করলে কৈউ কোন উত্তর দেয় না। সাব-রেজিস্টারের সহকারী মনিরুজ্জামান বাবুকে জিজ্ঞাস করলে তিনিও অশিকার করে। সাব-রেজিস্ট্রার তখন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পায় মনিরুজ্জামান বাবু সাক্ষর করছে দলিলে। এর পর সাব-রেজিস্ট্রার ঐদিন অন্যান্য দলিল রেজিষ্ট্রি না করে স্টাপদের উপর রাগ করে অফিস থেকে বেড় হয়ে যায়। এক দিন দলিল রেজিষ্ট্রি না হলে যেমন মানুষ লক্ষ্য লক্ষ্য
টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর একদিকে সরকার রাজস্ব হারায় কোটি কোটি টাকা। জানা যায়,মনিরুজ্জামান বাবু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ১৭ শত টাকা মায়নাতে নৈশ প্রহরীতে যোগদান করেন। এর পর সে অফিসের খাতা, কাগজ-পত্র’র টানা টানি করতে করতে নকল-নবিশ পোষ্টে যোগদান করে। এর পর তার ভ্যাগের চাকা ঘুরে যায়,
লক্ষ,লক্ষ টাকা আয় করতে তাকে বাবু। রেজিস্ট্রার অফিস এমন এটা জায়গায় যেখানে মানুষের লক্ষ্য-কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল সংরক্ষণ করা থাকে। সেখানে প্রবেশ করে দলিল টেম্পার করে লক্ষ কোটি টাকা আয় করে। ৩০ লক্ষ্যধিক টাকা ঘুষ দিয়ে আবার নকল-নবিশ থেকে মোহরার পোষ্টে যোগদান করে। এর পর এখন কুষ্টিয়া সদর সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান বাবু।
( ধারাবাহিক পর্বে দেখবেন দলিল প্রতি কত টাকা আদায়)