গঙ্গাবরকান্দি মনোহরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড’র সুইট অন্যর বাড়ি ঢোকার প্রবেশ পথ বন্ধ করে দালান ঘর র্নিমান করছে
দলিল যার জমি তার,( ভূমি আইন-২০২৩ )
“৩৪ শতক ভিটার মালিক হওয়া সত্ত্বেও বাড়ি ঢোকার প্রবেশ পথ নাই।”
কুষ্টিয়া সদর ১৩ নং মনোহরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড গঙ্গাবরকান্দি জামে মসজিদের পাশের।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, পিএলসি, চক বাজারস্থ বেগম বাজার উপশাখার ম্যানেজার আহসান হাবিব বকুলের পৈত্রিক-ওয়ারিস সূত্রে ৩৪ শতক জমির মালিক ( ছোট ভাই মাহবুব হাসান আকুল, চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমান ও বোন নদীসহ, উল্লেখ্য বাব-চাচা গত হওয়া সত্ত্বেও যৌথ ফ্যামিলি)। দাদা বজলুর রহমানের নামে গঙ্গারকান্দি মৌজার আর এস ৩৩৯ দাগে ৯ শতক, বাবা আনোয়ার হোসেন ও চাচা আতিয়ার রহমানের নামে উক্ত ৩৩৯ দাগে ক্রয়কৃত ১৫ শতক এবং পাশঘেষা ৩৩৮ দাগে ১০ শতক চাচা আতিয়ার রহমানের নামে ক্রয়কৃত ভিটা, যেখানে ছিল একটা টিনের ঘর, সেটাও এখন উচ্ছেদ। উল্লেখ্য এই জমির ভিতরে সাড়ে চার শতকের সাথে ক্রয় কৃত ১৫ শতকের একটা মৌখিক এওয়াজ আছে, সেটা অবশ্য আরেক শরীক প্রায় ভুলতে বসেছে। উল্লেখ্য আনোয়ার হোসেন ও আতিয়ার রহমান শুধু নিজের মায়ের ওসিয়ত (শ্বশুর মহোদয় যেখানে বসিয়েছেন সেখানে থাকবেন বলে) রক্ষার জন্য নিজেদের ক্রয়কৃত পজিশন মত ১৫ শতক জমির সাথে মায়ের ( যিনি নয় মাস মুক্তিযোদ্ধাদের মুড়ি ভেজে খাওয়িয়েছেন,একজন নারী মুক্তিযোদ্ধা, ছেলে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাইরা মোহাম্মদ পিন্টু মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের অফার দিলেও যা ফিরিয়ে দিয়েছেন) ভিটা আকড়ে রাখা শরিকানা সাড়ে চার শতক জমি এওয়াজ করেন।
ওদিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে অসুস্থ বড় ভাইকে দেখতে যেয়ে বকুলের চাচার আতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়। নাবালক মাহফুজ এবং নদী হয় এতিম। গুরুতর অসুস্থ বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গেলে,পার্শ্ববর্তী দুই শরিক ভিটা দখোলে মেতে উঠে এতিমের ঘর উচ্ছেদ, ভিটা উচ্ছেদ, গাছ উচ্ছেদ, গোয়ালঘর উচ্ছেদ এমনকি থাকার ঘর ওয়াসি দিয়ে ভাঙার কাজে। চারপাশ থেকে শুধু এতিমের বসতভিটা দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি, খেতাব-ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা মায়ের ওছিয়ত করা বাড়িতে প্রবেশের একটা অ্যাম্বুলেন্সের রাস্তাও নাই, এমনকি একটা বাইসাইকেলে করেও রোগী নিয়ে যাওয়া যাবে না, উল্টো বাড়িতে প্রবেশ করতে হয় আরো দুই শরিকের বাড়ির উপর দিয়ে। অতীতে যখন আতিয়ার রহমান কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বাধা দিয়েছে, শিকার হতে হয়েছে বেদম প্রহারের, হাসপাতালে থাকতে হয়েছে মাসের পর মাস, লড়তে হয়েছে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা, এমনকি গৃহবন্দীও থাকতে হয়েছে। এক শরিক বিশেষ করে রওশন হক সুইট (পিতা: মোহাম্মদ সেলিম হক), তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা এবং অপর শরিক মোহাম্মদ কিকলু (পিতা: মৃত মুনছুর বিশ্বাস) ও তার ভাই সহ মত্ত হয়েছে ওসিয়ত করা ভিটা দখলে,আড়াআড়ি ঘর তুলে-রাস্তা বন্ধ করতে, অন্যদিকে আহসান হাবীব বকুল চেষ্টা করেছেন মীমাংসার, ন্যায্য অধিকার ও এতিম ভাই বোনদের নিয়ে সহ অবস্থানের। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ম্যানেজার সাহেব প্রস্তাব দিয়েছে মুল রাস্তা থেকে পুকুর পর্যন্ত অংশ মোতাবেক বরাবর দখল অবমুক্ত করার বা কমপক্ষে সামনে মূল রাস্তার সাথে নয় শতক জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য, যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসী, নিকট আত্মীয়, বন্ধু মহল, শরীকগন,
কুষ্টিয়ার পৌরসভার সার্ভেয়ার ও তার প্রতিনিধি ও ১৩ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহোদয়। সকলের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান মহোদয় দায়িত্ব নিলেন পরবর্তী সপ্তাহে একটা সুষ্ঠু সমাধান করে দিবেন। পরবর্তী সপ্তাহে আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি ও পূর্বে উল্লেখিত প্রতিনিধিগণ যখন বুক ভরা আশা নিয়ে মজলিসে উপস্থিত হলেন, তখন চেয়ারম্যান মহোদয় সুষ্ঠু বিচারের জন্য মজলিসেতো আসলেনই না উপরন্ত আমাদের কারোর ফোন রিসিভ করলেন না। উপায়ান্তর না পেয়ে প্রতিনিধিগণ যখন ইউনিয়ন পরিষদে গেলেন, দেখতে পেলেন তালা ঝুলছে। এবিষয়েঃ-ব্যাংক ম্যানেজার আহসান হাবিব বকুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,
আমর প্রতিবেশী সুইটের কথাই চেয়ারম্যান মহোদয় মজলিসে আসেন নাই। আমরা জানি চেয়ারম্যান কখনো কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির হন না। উনি সাধারণত ওই ইউনিয়নের সকল জনতার প্রতিনিধি আমি আশা করি চেয়ারম্যান সাহেব আমার সম্পতির সঠিক ভাগবন্ট করে সুব্যবস্থা নিবেন।
এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতে সুইটকে টি ভি ক্যামেরার সামনে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তার নিজের কাগজ-পত্র দেখাতে পারিনাই। তার নিজের কতটুকো জমি তাও কোনো সদউত্তরও দিতে পারেননি।
অন্যদিকে আমদের প্রতিনিধি যখন সুইট কে জিজ্ঞাসা করেন আপনি বাড়িতে কত শতকের মালিক তখন কোনো দলিলতো দেখাতে পারেনইনি এমনকি কোনো সদউত্তরও দিতে পারেননি।
যথাযথ কর্তৃপক্ষ আশা করি উভয় পক্ষের দলিল পত্র যাচাই-বাছাই করে অংশ মোতাবেক আহসান হাবীব বকুল ও তার এতিম ভাইবোনদের অধিকার ফিরিয়ে দেবার যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।
ব্যাংকার বকুলের চাচাতো চাচার ছেলে, সুইট ( ৩৮ )। অত্রাঞ্চলের জোরদার প্রভাবশালী গটফাদার বলে কথা। জানা যায় যে,বাবার চাকরি আর নিজের লেখা-পড়া শেষে পেশাগত কাজের চাপে থাকলেও বাপের ভিটা ছোট্র বেলার সৃতি ধরে রাখতে লারির টানে গ্রামের সালে এসে দেখতে পায় দাদীর হাতের রান্নাঘর-গোয়ালঘর ভেঙ্গে রাস্তা বন্ধ করে পাঁকা দালানবাড়ি করছে অত্রাঞ্চলের জোরদার প্রভাবশালী গটফাদার সুইট।
এব্যাপারে, কুষ্টিয়া সদর ১৩ নং মনোহরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফনে যোগাযোগ করলেও, সেই কোনো ফোন রিসিভ করেননি।