কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে আসামী পালিয়ে যায়,কারারক্ষিদের গোলাগুলি, নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী।

শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে
বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুর ২ টার দিকে এই ঘটনার পর সেনা
সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে জেলা প্রশাসক
এহেতেশাম রেজা বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন।
পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।কারা সূত্রে জানা
গেছে, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জামিন
পেয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল আসামীদের। বের
হওয়ার সমায় হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দিরা। আশপাশের মিডিয়া
কর্মীদের সরে যেতে বলা হয়। স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যে জানা যায়,
বেলা পৌনে ৩টার দিকে হঠাৎ জেলখানার মধ্যে গুলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এর
কিছুক্ষন পরই দেখা যায় বেশ কিছু সংখ্যক জেল বন্দি গেইট দিয়ে
বেড়িয়ে যায়। আনুমানিক ২৫/৩০ জনের মতো হবে তারা জেল গেটের
মধ্য থেকে বেড়িয়ে ছুটতে থাকে। ৩টার দিকে সব কারারক্ষি জেল
গেইটের বাইরে এসে কড়া পাহাড়ার চেস্টা করতে থাকে। সেই সময়েও
জেল খানার ভিতরে থেকে থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। বেলা সোয়া ৩টার
দিকে সেনাবাহিনীর লোক এসে জেলগেইট নিয়ন্ত্রনে নেয়। এ সময়
কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত
আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা সাড়ে ৩টায় কর্তব্যরত
ও নেতৃত্বদানকারী সেনা কর্মকর্তা লে: কর্নেল মাহবুবুল আলম শিকদার
বলেন, ‘আমরা দ্রæততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল জেল গেইটে এসে
পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। ভিতরে ঢুকেছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে
সেখানে কিছু বাংক ফায়ারও দেয়া হয়েছে। তবে এই সময়য়ের মধ্যে
কিছু সংখ্যক জেল বন্দি পালিয়েছে বলে আমরা জানতে পারলেও তার
সঠিক সংখ্যাটা এখনও পায়নি। জেল সুপারকে বলেছি হাজিরা খাতা
মিলিয়ে প্রকৃত সংখ্যাটা জানাতে। জেল পলাতক একজন আসামিকে
কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড় থেকে পিটিআই রোড ধরে কাস্টম
মোড়ের দিকে যেতে দেখা গেছে। তিনি একটি মোটরসাইকেলে
বসেছিলেন, মুখ বাধা ছিল গামছা দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *