<a href="https://realtimekushtia.com/wp-admin/post.php?post=710&action=edit">কুষ্টিয়ায় র্যাব এর অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুমনকে গ্রেফতার ।</a>
কুষ্টিয়্ায় র্যাব এর অভিযানে দৌলতপুর উপজেলায় দুই ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুমন (৩৯) কে গ্রেফতার করেন। মোঃ মারুফ হোসেন অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ১১টায় আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার দৌলতপুর উপজেলার দুই ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১নং পলাতক আসামি দৌলতপুর সাং-খলিসাকুন্ডি বাজারপাড়া এলাকার আনারুল ইসলাম পাইলট এর ছেলে সুমন (৩৯)কে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করে। র্যাব জানান গত ০৪ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখ বিকেলে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার জগতি এলাকার দুই ভাই মনিরুল (২৪) ও মাসুম (২০)কে অপহরন করে দুবর্ৃৃত্তরা। পরদিন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কোদালকাটি মাঠের একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতদের মা বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় গ্রেফতারকৃত সুমনকে প্রধান আসামি সহ সাতজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৫/০১/২০০৭, ধারা ৩৬৪/৩০২/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০, জিআর নং-০৩/০৭। উক্ত মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ মে আদালতে ধৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক ০৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০,০০০/-টাকা জরিমানা করে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই জন আসামি আসাদুল ও মিনাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সুমন সহ অপর তিন আসামি জামিন হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিল।